সিরাজগঞ্জে মধু সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৪০৪ টন

সিরাজগঞ্জে সরিষার হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে দিগন্ত জোড়া ফসলের মাঠ। পৌষের কনকনে ঠাণ্ডা হিমেল বাতাসে দোল খাচ্ছে সরিষার ফুল। আর এ ফুল থেকে এবার মধু সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০৪ টন। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে জেলার ৯টি উপজেলায় সরিষা ক্ষেতের পাশে পাঁচ শতাধিক চাষি তাদের খামারের মৌ বাক্স স্থাপন করেছে। এ মধু সংগ্রহের সময় মৌমাছির পরাগায়নের ফলে সরিষার ফলন বাড়বে বলে আশা করেছেন কৃষি বিভাগ। মৌচাষিরা বলছেন, মধু উৎপাদন অব্যাহত রাখতে ও মৌমাছি বাঁচাতে সরিষা ফুলে অযাচিত কীটনাশক ব্যবহার বন্ধে কৃষকদের সচেতনতা বৃদ্ধি জরুরি। জেলা কৃষি বিভাগ জানায়, এ বছর জেলায় ৯০ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। আর এ থেকে মধু সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০৪ টন। চলনবিল অধ্যুষিত তাড়াশ উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা শর্মিষ্ঠা সেন গুপ্তা জানান, এবার এ উপজেলায় ১০ হাজার৪৭০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে পুরো মাঠ। প্রায় ৫ হাজার মৌবক্স মধু সংগ্রহের জন্যবসানো হয়েছে। আরও বক্স বসানোর প্রস্তুতি চলছে। উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবর্না ইয়াসমিন সুমী বলেন, এ উপজেলায় এবার ২৪ হাজার ৬০৫ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। এ সরিষার ফুল থেকে মধু সংগ্রহে স্থানীয় মৌচাষি ছাড়াও অন্যত্র থেকে অনেকেই এসেছেন। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শষ্য) মোহাম্মদ রেজাউল হক বলেন, মৌমাছি মধু সংগ্রহের সময় ফুলে ফুলে উড়ে পরাগায়ন ঘটায়। এতে শষ্যের উৎপাদন ১৫ শতাংশ বাড়ে। ফলে মধু চাষি ও কৃষক উভয় লাভবান হয়। উৎপাদিত মধু মাঠ থেকে দেশের বড় বড় কোম্পানি কিনে বাজারজাত করে। প্রতি কেজি মধু ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হয়। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক একেএম মঞ্জুরে মওলা বলেন, এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে। আর কৃষকরা উন্নত জাতের বীজ ব্যবহার করায় ভালো ফলনের আশা। একই সঙ্গে মৌ চাষিরা সরিষা ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করতে গিয়ে যেন স্থানীয়ভাবে কোনো সমস্যায় না পড়ে সে জন্য উপজেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে কাজ করছেন তারা। এম এ মালেক/এনএইচআর/এমএস