বিএনপি চেয়ারপারসনের জানাজায় অংশ নিতে আসা বিদেশি অতিথিদের সঙ্গে উপদেষ্টাদের সাক্ষাৎ

গণতন্ত্রের আপসহীন নেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে এবং শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তি ও উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনে আগত বিদেশি অতিথিদের সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একাধিক উপদেষ্টা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। প্রেস উইংয়ের পাঠানো বার্তায় জানানো হয়, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান সফররত ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর, পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক, নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা এবং ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডি. এন. ধুঙ্গেলের সঙ্গে জাতীয় সংসদ ভবনে সাক্ষাৎ করেছেন। শোকের এই সময়ে বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশের জন্য এবং তাদের উপস্থিতির জন্য উপদেষ্টারা অতিথিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। আরও পড়ুন: জিয়াউর রহমানের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত খালেদা জিয়া স্বামী শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হন দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী এবং মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় নারী সরকার প্রধান বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বিকেল সাড়ে ৪টার পরপরই রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের জিয়া উদ্যানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে অনুষ্ঠিত হয় তার নামাজে জানাজা। এ জানাজায় জনসমুদ্র শব্দটিও যেন বিশালতার কাছে হার মেনেছে। কেননা যেদিকে চোখ যায় সেদিকেই কেবল চোখে পড়েছে মানুষের মাথা। শোনা গেছে লাখো কণ্ঠের কান্নাজড়িত দোয়া। রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউ ছাপিয়ে জনস্রোত আছড়ে পড়েছে আশেপাশের কয়েক কিলোমিটার জুড়ে। যেদিকে চোখ যায়, শুধু মানুষ আর মানুষ। দলমত-নির্বিশেষে শোকার্ত মানুষের এই ঢল প্রমাণ করল, রাজনীতির ‘আপসহীন নেত্রী’ বেগম খালেদা জিয়া মানুষের হৃদয়ে কতটা গভীরে স্থান করে নিয়েছিলেন। প্রবীণ রাজনৈতিক বিশ্লেষক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, সবাই একবাক্যে স্বীকার করছেন, ‘দেশে এমন জানাজা এর আগে আর দেখেনি কেউ। আরও  পড়ুন: বিএনপি চেয়ারপারসনের জানাজা /দীর্ঘ ৪৪ বছরের ব্যবধানে আবারও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে ইতিহাসের বিকেলে ৩টায় যখন জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় বেগম জিয়ার জানাজা শুরু হয়, তখন ঢাকা মানিক মিয়া এভিনিউয়ের আশেপাশের সড়কগুলো কার্যত স্থবির। জানাজাস্থল মানিক মিয়া এভিনিউ পূর্ণ হয়ে সেই ভিড় ছড়িয়ে পড়েছিল উত্তরে জাহাঙ্গীর গেট, পশ্চিমে মিরপুর রোড এবং পূর্বে ফার্মগেট পেরিয়ে কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর ও মগবাজার পর্যন্ত। মাইকের আওয়াজ যতদূর পৌঁছায়, মানুষ ততদূরেই রাস্তায় কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়িয়েছেন। অনেকের চোখের কোণে জল, কেউবা হাত তুলে নীরবে দোয়া করছেন।  মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে মারা যান তিনি। ১৯৪৫ সালে  জন্ম গ্রহণ করেন তিনি।