ইউরোপের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে প্রতিবেশী দেশ বেলারুশে নিজেদের তৈরি শব্দের চেয়ে ১০ গুণ গতির পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র ওরেশনিক মোতায়েন করেছে রাশিয়া। এই ক্ষেপণাস্ত্র ভবিষ্যতের সম্ভাব্য সংঘাতে ইউরোপকে লক্ষ্যবস্তু করার ক্ষেত্রে মস্কোর ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করবে বলে মনে করা হচ্ছে।মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলারুশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, রাশিয়ার ওরেশনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা দেশের নির্দিষ্ট এলাকায় ‘কমব্যাট ডিউটি’ পালন শুরু করেছে। এদিন রাশিয়া হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা মোতায়েনের একটি ফুটেজ প্রকাশ করে। একে ওরেশনিক সিস্টেমের প্রথম প্রকাশ্য প্রদর্শন বলে জানায় রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম তাস। ভিডিওতে দেখা যায়, বনপথের ভেতর দিয়ে একটি ওরেশনিক ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এবং সেটি ঢাকা আছে সবুজ রঙের নেটে। তবে বেলারুশের ঠিক কোথায় এই ক্ষেপণাস্ত্রটি মোতায়েন করা হয়েছে তা প্রকাশ করেনি রুশ ও বেলারুশ সেনাবাহিনী। আরও পড়ুন: ২১তম দেশ হিসেবে ইউরো মুদ্রা চালু করছে বুলগেরিয়া রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা নিয়ে গর্ব করে বলেন, এটি শব্দের চেয়ে ১০ গুণ বেশি গতিসম্পন্ন এবং একে আটকানোর মতো এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম তথা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এখনও তৈরি হয়নি। নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, বেলারুশে মোতায়েনের পুরো ইউরোপ এখন এই ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় চলে এলো। কারণ মধ্যমপাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্রটি সর্বোচ্চ ৫ হাজার ৫০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। বেলারুশ থেকে ইউরোপের যেকোনো লক্ষ্যবস্তুতে, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলেও আঘাত হানতে পারবে ওরেশনিক। পশ্চিমা রাজনীতি বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, সম্প্রতি ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর কয়েক জন সদস্য এমন কিছু ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যেগুলো রাশিয়ার একদম ভেতরে আঘাত হানতে সক্ষম। এমন তথ্য পাওয়ার পরই বেলারুশে ওরেশনিক মোতায়েনের সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ নিয়েছে রাশিয়া। আরও পড়ুন: পুতিনের বাসভবনে হামলার অভিযোগ রাশিয়ার, ইউক্রেনের নাকচ