বিদায় ২০২৫: অপেক্ষা নতুন বছরের সূর্যোদয়ের, স্বাগতম-২০২৬

নববর্ষ বা নতুন বছর হলো সেই সময় বা দিন যখন থেকে একটি পঞ্জিকার নতুন বছর শুরু হয় এবং পঞ্জিকার বছরের গণনা এক এক করে বৃদ্ধি হয়। এদিকে পশ্চিম আকাশে রক্তিম আভা ছড়িয়ে ডুব দিলেো ২০২৫ সালের শেষ সূর্যাস্ত । এখন অপেক্ষা নতুন বছরের সূর্যোদয়ের। এরইমধ্যে ইংরেজি নববর্ষ ২০২৬ উপলক্ষে দেশে ও বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিসহ বিশ্ববাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।চন্দ্র-সূর্যের আসা-যাওয়ার নিয়মে ৩৬৫ দিন পর পর বছরের ক্রমিক বদলায়। ৩৬৫ দিনের এই বৃত্তের মাঝে থাকে মানুষের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, চাওয়া-পাওয়া, এমনকি না পাওয়ারও বেদনাও। তবুও মানুষ ক্রমাগত পুরাতনকে পেছনে ফেলে নতুনের দিকে যাত্রা করে। সেই যাত্রায় পঞ্জিকানুসারে ২০২৫ সালের শেষ সূর্যাস্ত ছিল আজ।  বছরের শেষ বিদায়বেলায় এক শোকাতুর পরিবেশ গ্রাস করেছে পুরো দেশকে। গণতন্ত্র ও জাতীয় ঐক্যের প্রতীক হিসেবে পরিচিত, আপসহীন নেত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মহাপ্রয়াণে কেঁদেছে কোটি কোটি প্রাণ। এ দেশের মানুষের হৃদয়ে শ্রদ্ধার থাকবেন তিনি। বিদায়বেলার অশ্রুসিক্ত ভালোবাসায় সিক্ত হন তিনি। তবে কোনো কিছুই থেমে থাকে না, পৃথিবী তার নিয়মে চলতে থাকে, তার গতিপথও চলতে থাকে সময়ের হাত ধরে। ঠিক তেমনি ২০২৫ বিদায় নিয়ে দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছে ২০২৬। নতুন বছর মানেই নতুন আশা, নতুন সংকল্প আর একমুঠো সতেজ স্বপ্ন নিয়ে। অনেক জাতিই বেশকিছু সাংস্কৃতিক আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিনটি উদ্‌যাপন করে থাকে। তবে এ বার দেশে ভিন্ন মাত্রায় আসছে নতুন বছর।  দেশ গড়ার এই বিশাল কর্মযজ্ঞ কেবল সরকারের কাঁধেই বর্তায় না। এটি দেশের মানুষ আজ নিজের ভাগ্যের চাবিকাঠি নিজের হাতে তুলে নিয়েছে। বিশেষ করে তরুণ সমাজ, যারা ছিল এই গণজাগরণের হৃৎস্পন্দন, তারাই আজ আগামীর আধুনিক স্থাপত্যের মূল কারিগর হিসেবে সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। বিশৃঙ্খল আর কণ্টকাকীর্ণ হলেও ২০২৫ সালটি ছিল এ মহাকাব্যের এক অপরিহার্য অধ্যায়। ২০২৬ সালের ভোরের প্রথম আলো যখন পূর্ব আকাশের দিগন্তে উঁকি দেবে তখন জানান দেবে-২০২৬ সালের আগমন ঘটে গেছে। এই উদয় কেবল ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টানো নয়; এটি একটি জাতির পুনর্জন্ম। এটি এক পবিত্র অঙ্গীকার যে, উত্তাল সময়ের শিক্ষাগুলোই হবে আগামীর পথপ্রদর্শক। এ জাতি এখন আর শুধু কোনোমতে টিকে থাকাতে সন্তুষ্ট নয় বরং আমরা এখন অদম্য সাহসে শ্রেষ্ঠত্বের শিখরে পৌঁছাতে বদ্ধপরিকর। ২০২৬ সালের ভোর কেবল সূচনা নয়। এটি এক পুনর্জন্মের ঘোষণা। অশান্ত এক বছরের শিক্ষা, ভবিষ্যৎ নির্মাতাদের পথ দেখাবে, এই অঙ্গীকারই এর মর্মকথা। এই জাতি আর কেবল টিকে থাকার কথা ভাববে না। দৃঢ়ভাবে, নির্ভীকভাবে এগিয়ে যাওয়া পথে এগিয়ে চলবে। জাতীয় নির্বাচন- ২০২৬ কেবল একটি নতুন বছর নয়; আসছে ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দেশের ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অংশগ্রহণমূলক আর উৎসবমুখর এই নির্বাচনের মাধ্যমে সূচিত হতে যাচ্ছে এক নতুন প্রারম্ভ। বাংলাদেশ আজ তার সোনালি ভবিষ্যতের দিকে পা বাড়াচ্ছে, যা এ দেশের মানুষের অদম্য প্রাণশক্তি।