নতুন কোন কোম্পানি আসেনি বরং বন্ধ হয়েছে পাঁচ ব্যাংকের লেনদেন। ১৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত ও বহুজাতিক কোম্পানিকে তালিকাভুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে নির্দেশ দেয়ার পাঁচ মাস পরও দৃশ্যমান হয়নি কোন উদ্যোগ। টাস্কফোর্স প্রতিবেদন জমা দিলেও আস্থার দোলাচল কাটেনি বিনিয়োগকারীদের। এভাবেই ২০২৫ সাল শেষ করছে অর্থনীতির বড় অংশীদার দেশের পুঁজিবাজার।সূচকের সামান্য উত্থান, বাজার মূলধন বৃদ্ধি আর দৈনিক লেনদনে পতনের মধ্য দিয়ে ২০২৫ সাল শুরু করে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ। অর্থনীতির বড় এই অংশীদারের সর্বনিম্ন দৈনিক লেনদেন ২২৪ কোটি ৫০ লাখ টাকায় নামে ৪ জুনে। যা গেল বছরের ২৪ জুলাইয়ের পর সর্বনিম্ন। ওই দিন ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছিল ১৫৯ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার। চলতি বছরের ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১৪৪১ কোটি ৯০ লাখ টাকা দৈনিক লেনদেন হয়, ৭ সেপ্টেম্বর। ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৯০৫ কোটি ৩২ লাখ টাকা বাজার মূলধন নিয়ে বছর শুরু করে ঢাকার পুঁজিবাজার। ৮ সেপ্টেম্বর হয় সর্বোচ্চ, ৭ লাখ ৩১ হাজার ০৫৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। অথচ গত বছরের ১৭ জানুয়ারি এর আকার ছিল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ইতিহাসে সর্বোচ্চ- ৭ লাখ ৮৮ হাজার ৪৪৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা। সর্বনিম্ন বাজার মূলধন নামে ২৮ মে, ৬ লাখ ৪১ হাজার ৯৯১ কোটি ৬৯ লাখ ডলারে। আরও পড়ুন: সূচকের পতনে ঢাকার পুঁজিবাজারে তলানিতে লেনদেন প্রধান সূচক সর্বনিম্ন ৪ হাজার ৬১৫.৪০ পয়েন্টে নামে ২৮ মে। তা ৭ সেপ্টেম্বর ওঠে সর্বোচ্চ ৫ হাজার ৬৩৬.১৫ পয়েন্টে। দৈনিক ১ হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে ১৫ কার্যদিবসে আর ২৪ দিন হয়েছে ২০০ কোটি টাকার কম। মার্জিন ঋণ পেতে ন্যূনতম ১০ লাখ টাকার বিনিয়োগ আর ছয় মাসে অভিজ্ঞতা থাকার বাধ্যবাকতা রেখে পুঁজিবাজারের মার্জিন ঋণ আইন সংস্কারে চূড়ান্ত সুপারিশ এপ্রিলে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জে (বিএসইসি) জমা দেয় পুঁজিবাজার সংস্কারে গঠিত টাস্কফোর্স। আরও পড়ুন: ডিএসইর বাজার মূলধন হারাল সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে ১৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত ও বহুজাতিক কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেয়া হয়, আগস্টের শুরুতে। চূড়ান্তভাবে একীভূতকরণের পরদিন ৬ নভেম্বর বন্ধ হয়ে যায় আলোচিত পাঁচ ব্যাংকের শেয়ারবাজারের লেনদেন। তালিকাভুক্ত হয়নি নতুন কোনো প্রতিষ্ঠান।