ফেনীজুড়ে কালো পতাকা। ইতিহাসের আর কোন দিন জেলায় এতো কালো পতাকা উড়তে দেখেননি কেউ। রাজনৈতিক নেতাকর্মী ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষও কালো ব্যাজ ধারণ করে শোক প্রকাশ করছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দলমত ভুলে সব শোকে একাকার হয়ে গেছে।বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী-সমর্থকরা শোকে কাতর। পাশাপাশি আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগ নেতারাও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শোক জানিয়ে গণতন্ত্র রক্ষা, মানুষের অধিকার ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় খালেদা জিয়ার ত্যাগকে স্মরণ করছেন। জেলার সব সড়ক, বাড়িতে উড়ছে কালো পতাকা। অনেকে বুকে কালো ব্যাজ ধারণ করে স্মরণ করছেন বেগম জিয়াকে। এতোদিন যে নামটি ফেনীর পরিচয়ের সঙ্গে মিশে ছিল ইতিহাস ও অহংকার হয়ে, সেই বিএনপি চেয়ারপারসন তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে স্তব্ধ জনপদ। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই 'অভিভাবক' হারানোর বেদনা নিয়ে ফুলগাজীর দক্ষিণ শ্রীপুরের পৈত্রিক বাড়ি থেকে শুরু করে জেলার বিভিন্ন স্থানে কোরআন খতম, দোয়া ও মোনাজাত করা হয়েছে। অন্যদিকে প্রিয় নেত্রীর শেষ বিদায়ে শামিল হতে মঙ্গলবার দুপুর থেকেই ফেনী থেকে ঢাকায় ছুটেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। আরও পড়ুন: গোটা রাজধানী যেন পরিণত হয়েছিল খালেদা জিয়ার জানাজার ‘জায়নামাজে’ ফেনী জেলা যুবদলের আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন খন্দকার বলেন, বেগম জিয়ার মৃত্যুতে আমাদের দুঃখ প্রকাশ করার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। ছাত্রদলের রাজনীতির শুরু থেকেই ‘ফেনীর মেয়ে’ হিসেবে আমরা উনাকে পেয়েছি, সবসময় আমাদের সহযোগিতা করেছেন। তিনি একজন আপসহীন নেত্রী ছিলেন। গত ১৭ বছর রাজনীতিতে আমরা নানা জুলুমের শিকার হয়েছি, তবুও তিনি আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস ছিলেন। গণঅভ্যুত্থানের পর ফেনী ছেড়ে আত্মগোপনে যাওয়া ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, ফেনী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম, ফেনী পৌরসভার সাবেক মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজীও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানান। আরও পড়ুন: জিয়াউর রহমানের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত খালেদা জিয়া ফেনী জেলা জামায়াতের আমির মুফতি আব্দুল হান্নান ও সাবেক আমির কেন্দ্রীয় মজলিশের শুরা সদস্য অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূঁঞাও শোক জানান।