আপাতত বন্ধ হচ্ছে না কক্সবাজার সৈকতের লাইফগার্ড সেবা

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারে তহবিল সংকটে বন্ধ হতে যাওয়া লাইফ গার্ড সেবা আপাতত চালুই থাকছে। পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আগের নিময়েই এই সেবা থাকবে।মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহিদুল আলম। তিনি বলেন, ‘লাইফগার্ড না থাকলে পর্যটকদের জীবন ঝুঁকিতে পড়বে। এ কারণে সেবা চালু থাকবে। এ বিষয়ে সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চকে (সিআইপিআরবি) চিঠি দেয়া হয়েছে। আপাতত তারা লাইফগার্ড সেবা চালিয়ে যাবে। সিআইপিআরবি জানায়, ২০১৪ সাল থেকে যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক সংস্থা রয়্যাল ন্যাশনাল লাইফবোট ইনস্টিটিউটের (আরএনএলআই) অর্থায়নে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সি-সেফ লাইফগার্ড কলাতলী থেকে লাবণী পয়েন্ট পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার সৈকতে উদ্ধার কাজ চালিয়ে আসছে। এখন পর্যন্ত ৮২৪ জন পর্যটককে তারা সাগর থেকে জীবিত উদ্ধার করেছে। এ ছাড়া স্রোতের টানে ভেসে যাওয়া ৬৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করেন লাইফগার্ডের সদস্যরা। সি-সেফের হিসাবে, প্রতিষ্ঠানে ২৭ জন লাইফগার্ডসহ মোট ৩৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর রয়েছেন। তাদের বেতন-ভাতা বাবদ মাসে লাগে ১৪ লাখ টাকা, বছরে দেড় কোটি টাকা। আরও পড়ুন: তহবিল সংকটে বন্ধ হতে যাচ্ছে কক্সবাজার সৈকতের লাইফগার্ড সেবা তহবিল সংকট ও প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ায় মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) থেকে কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চিঠি পাঠানোর পর এই সেবা চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সি-সেফ কর্তৃপক্ষ। সি-সেফ লাইফগার্ডের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘তহবিল সংকটের কারণে কক্সবাজার সৈকতে লাইফগার্ড সেবা বন্ধ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন থেকে একটি চিঠি পাঠানো হয়। এরপরিপ্রেক্ষিতে সেবাটি চালু থাকছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যেহেত দুর্গাপূজা, প্রতিমা বিসর্জন উৎসব এবং পর্যটন মৌসুম শুরু হচ্ছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সৈকতে লাইফগার্ড সেবা চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে।’